রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

টোল দিয়ে গাড়িতে করে টানেল পার হন প্রধানমন্ত্রী

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম যোগাযোগের সুড়ঙ্গ পথ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বেলা পৌনে ১২টায় চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা প্রান্তে টানেলের ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে টোল দিয়ে গাড়িতে করে টানেল পার হন সরকারপ্রধান।

এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সাগর উপকূল ঘিরে শিল্পের নতুন দুয়ার খুলে গেল। রোববার সকাল ৬টা থেকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে এই টানেল। দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশে প্রথম সুড়ঙ্গপথ এই টানেল চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থেকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে আনোয়ারা উপজেলাকে যুক্ত করেছে।

উদ্বোধন শেষে আনোয়ারা উপজেলার কেইপিজেড মাঠে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জনসভার মাঠ শনিবার সকাল থেকেই ভরে উঠেছে কানায় কানায়। সকাল নয়টার দিকে জনসভা শুরু হয়েছে। সভায় আনোয়ারা, কর্ণফুলী, পটিয়া, বাঁশখালীসহ উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগরের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে যোগ দেন।

কর্ণফুলীর টানেল শুধু চট্টগ্রাম শহরের দুই প্রান্তকে যুক্ত করবে না, হবে শিল্প ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের যোগসূত্র। মাটির প্রায় ১৪০ ফুট গভীরে নির্মিত ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের টানেলটি গাড়িতে পাড়ি দিতে সময় লাগবে তিন থেকে সাড়ে তিন মিনিট। টানেলে দুটি টিউব রয়েছে। এই টিউবগুলো কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে ১০৫ ফুট গভীরে নির্মাণ করা হয়েছে। গাড়ির জট যাতে না হয়, সে জন্য রয়েছে ২০টি টোল বুথ।

কর্ণফুলী নদীতে বিভক্ত চট্টগ্রাম শহরকে সাংহাইয়ের মতো ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ হিসেবে গড়তে টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর টানেল নির্মাণে প্রকল্পটি তাঁর সরকারের অনুমোদন পায়। পরের বছরের ১৪ অক্টোবর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
টোল দিয়ে গাড়িতে করে টানেল পার হন প্রধানমন্ত্রী

সাত বছর পর বাস্তবে রূপ নিয়েছে টানেল। স্বাধীনতার ৫২ বছরে টানেলযুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। আনন্দের এই ক্ষণ উদযাপনে বর্ণিল সাজে সেজেছে কর্ণফুলীর দুই তীর।

সেতু কর্তৃপক্ষের নির্মাণ করা টানেলে গাড়ি চলাচলের কারণে শুধু দূরত্বই কমবে না, বাঁচবে সময় ও খরচ। কক্সবাজারের সঙ্গে চট্টগ্রামের দূরত্ব কমবে ৪০ কিলোমিটার। মহেশখালীতে চলমান ৭২টি প্রকল্পের সুফল সারাদেশ পাবে আরও কম সময়ে।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION